করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারিভাবে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তারা বাইরে থেকে ফিরে সাবান বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্তের পর থেকেই চাহিদা বেড়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে শিল্প মন্ত্রণালেয়র নির্দেশে হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরি করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত কেরু এন্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
‘কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার (Carew’s Hand Sanitizer )’ নামে এই জীবাণুনাশক গত সোমবার (২৩ মার্চ) প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলকভাবে বাজারে আসে। । এর কয়েকদিনের মধ্যে কেরুর হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্বল্প মূল্যে সবার হাতে পৌঁছানোর সর্ব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এই প্রিতষ্ঠানটি। হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরিতে অ্যালকোহল লাগে। দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনি উৎপাদনের সাথে বিশ্বমানের অ্যালকোহল উৎপাদন করে। একারণেই এই হ্যান্ড সেনিটাইজারের মানের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে। দেশে হ্যান্ড সেনিটাইজারের চাহিদা মেটাতে এই প্রতিষ্ঠান সুলভমূল্যে দ্রুততার সাথে বাজারে নিয়ে আসে এই হাত জীবানুমুক্ত করার লিকুইড। ১০০ মি.লি সাইজের এই বোতলটির দাম মাত্র ৫০ টাকা।
জনসাধারনের মাঝে হ্যান্ড সেনিটাইজার প্রাপ্তি সহজলভ্য করার লক্ষে বিএসএফআইিস এর সদর দপ্তর সহ দেশের মোট ১২টি জায়গায় অবিস্থত কেরুর বিক্রয় কেন্দ্রে (ঢাকার গেন্ডারিয়া, দর্শনা, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, শান্তাহার, পার্বত্যপূর, শ্রীমঙ্গল, পাবনা, ময়মন সিংহ, পাবনা, চট্টগ্রাম) পাওয়া যাচ্ছে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার । এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন ওষুধের দোকান যেমন মগবাজারের আমানত ফার্মেসী, লাজ ফার্মা, উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল ফার্মাসী, ক্যান্সার হসপিটাল ফার্মাসী ইত্যাদি জায়গাতেও পাওয়া যাচ্ছে এ জীবাণুনাশক। বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ও দোকানে এ জীবাণুনাশকটি ছড়িয়ে দিতে এরই মধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চিনি করপোরেশন ।